০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্মার্টফোনে করতে পারবেন ভিডিও এডিটিং

-


একসময় ভিডিও এডিট করার জন্য উচ্চক্ষমতার দামি কম্পিউটার ও ব্যয়বহুল সফটওয়্যার দরকার হতো। তবে, যুগ বদলে গেছে। এখন স্মার্টফোনের যুগ, আপনার হাতে থাকা ডিভাইস দিয়ে ভিডিও এডিট করার কলাকৌশল আয়ত্ত করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে দুটি উপায়ে ভিডিও এডিট করা যায়। ফোনে আগে থেকে ইনস্টল করা অ্যাপের মাধ্যমে, অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি থার্ড পার্টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ডাউনলোড করে। ফোনে থাকা গুগল ফটোজ অ্যাপ ও থার্ড-পার্টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ক্যাপকাট এর সাহায্যে ভিডিও এডিট করা যায়। এ দুটি অ্যাপই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। তবে, গুগল ফটোজ অ্যাপে অতিরিক্ত টুল বা ফিচার অ্যাড করতে হলে ব্যবহারকারীকে গুগল ওয়ান পরিষেবায় সাবস্ক্রাইব করতে হবে।

গুগল ফটোজ ব্যবহার
গুগল ফটোজ কেবল ফোনের গ্যালারির কাজেই আসে না, এটি ভিডিও ও ছবি এডিট করার একটি টুলও। কারো যদি ভিডিও 'ট্রিম', 'গ্রুপ' বা রোটেট করার মতো মৌলিক ভিডিও এডিটিংয়ের প্রয়োজন হয় তবে এ অ্যাপ দিয়েই কাজ করে ফেলা যাবে। প্রথমে গুগল ফটোজ চালু করুন। যে ভিডিও এডিট করতে চান সেটি বাছাই করন। এডিট অপশনে ট্যাপ করুন। এবার যে এডিট ফিচার বা টুল ব্যবহার করতে চান সেটি বেছে নিন।
ভিডিও ফিচার থেকে স্পিকার আইকনে ট্যাপ করে ফোনের সাউন্ড মুছে ফেলা যাবে। এর ঠিক পাশে 'ফ্রেম' আইকনে
ট্যাপ করে ভিডিও স্ট্যাবিলাইজ বা স্থিতিশীল করা যাবে। ভিডিওটি ট্রিম বা কাটার ক্ষেত্রে, 'ট্রিম হ্যান্ডেল' বা ভিডিওর দুদিকে থাকা দাগ টেনে যে অংশটি রাখতে চান সেখানে নিন।
ক্রপ ফিচারের মাধ্যমে ভিডিওর ফ্রেম এডিট করা যাবে। অ্যাসপেক্ট রেশিও আইকনে ট্যাপ করে অ্যাসপেক্ট রেশিও পরিবর্তন করতে পারবেন, রোটেট আইকনে ট্যাপ করে ভিডিওর ফ্রেম নিজের মতো ঘুরিয়ে নিতে পারবেন ও ট্রান্সফর্ম আইকনে ট্যাপ করে পার্সপেকটিভ পরিবর্তন করতে পারবেন।
অ্যাডজাস্টের মাধ্যমে ছবি এডিট করার সময় ব্রাইটনেস, কনস্ট্রাস্ট, হাইলাইট, শ্যাডো, স্যাচুরেশন, এইচডিআর-এর মতো বেশ কিছু ফিচার পরিবর্তন করা যায়, এখান থেকে সেটিই করা যাবে ভিডিওর জন্য।
নিজের পছন্দমতো ফিল্টার বেছে নিয়ে ভিডিওতে জুড়ে দিতে পারবেন। মার্কআপ ফিচারের মাধ্যমে পেন বা হাইলাইটার টুলের মাধ্যমে ভিডিওর উপরে বিভিন্ন জিনিস আঁকা যাবে। এ ছাড়া, টেক্সট অপশন বেছে নিয়ে ভিডিওতে বিভিন্ন লেখা যোগ করা যাবে।
আপনার পছন্দ অনুসারে ভিডিও এডিট করা হয়ে গেলে সেইভ কপি অপশনে ট্যাপ করলেই এডিট করা ভিডিওটি সেইভ হয়ে যাবে।

ক্যাপকাট ব্যবহার
কেউ যদি ফোনের ভিডিও এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে আরো উন্নত ফিচার খুঁজে থাকেন সেক্ষেত্রে থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যাপ হলো ক্যাপকাট। ক্যাপকাটে বিভিন্ন
ভিডিও ফরম্যাট নিয়ে কাজ করার মতো উপযুক্ত ভিডিও এডিটিং টুলের একটি সংগ্রহ রয়েছে। শুরুতে গুগল পে-স্টোর থেকে ক্যাপকাট অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। অ্যাপটি খুলুন। 'এডিট' ট্যাবটি খুলে নিউ প্রজেক্ট অপশনটি বেছে নিন। যে ভিডিওটি এডিট করতে চান সেটি বাছাই করুন। অ্যাড অপশনে ট্যাপ করুন। যে এডিটিং টুলটি ব্যবহার করতে চান সেটি বাছাই করুন। এখানে বিভিন্ন অপশন
থাকবে। ভিডিও এডিট করার বিভিন্ন টুল থাকবে, যেমন 'স্প্রিট' যা ভিডিওটি কয়েক অংশে কেটে ফেলতে ব্যবহার করা হয়। 'স্পিড' যা ভিডিওর গতি পরিবর্তনে কাজে আসে।
'অ্যানিমেশন' অপশনের মাধ্যমে ভিডিওতে বিভিন্ন ইফেক্ট যোগ করা যাবে। অডিও অপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করা যাবে। যেমন, 'অ্যাপলড' বা করতালি, 'ইভিল লাফ' বা দুষ্ট হাসি, হুস শব্দ। এ ছাড়া, ভিডিওতে ব্যবহার হওয়ার অডিওর কপিরাইট ও চেক করা যাবে এখান থেকে। টেক্সট ফিচারের মাধ্যমে বিভিন্ন টেক্সট বা লেখা, আঁকা, অটো-ক্যাপশন, অটো- লিরিকস অ্যাড করা যাবে। ভিডিওর ওপরে নতুন কোনো ভিডিও বসাতে চাইলে ওভারলে টুল ব্যবহার করা যাবে। ভিডিওতে ব্যবহার করা যাবে এমন বিভিন্ন মুভিং ইফেক্টস পাবেন এখানে। এছাড়াও অন্তত ১০০টি ভিডিও ফিল্টার পাবেন এখানে। আপনার পছন্দ অনুসারে এডিট করা হয়ে গেলে স্ক্রিনের উপরে ডান দিকের 'আপ অ্যারো' বা তিরের মতো দেখতে অপশনে ক্লিক করলে এডিট করা ভিডিওটি ফোনের লোকাল স্টোরেজে সেইভ হয়ে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement